বিলাল উদ্দিন / সাদেক রিপনঃ “আমরা পরবাসী দেশকে ভালবাসি” প্রতি বছর লাখের বেশি বাংলাদেশী নিজেদের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে পরিবার পরিজন ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। সেখানে ভিন্ন পরিবেশে কষ্টকর জীবন যাপনের মাধ্যমে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে। শুধু এই নয় বিদেশে নির্মাণ শিল্প থেকে করে কৃষি জমিসহ বিভিন্ন স্থানে দিনরাত পরিশ্রম করে হাজার কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে তারা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি কাজ করছেন।
বর্তমানে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও পথে এগুচ্ছে বাংলাদেশ, এটা এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। আর এই সমৃদ্ধিও অর্থনীতি গড়তে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করছে সারাবিশ্বে ছড়িড়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি প্রবাসী বাংলাদেশিদেও পাঠানো রেমিটেন্স। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বাংলাদেশ বিমান বন্দরে আনসার সদস্যরা প্রবাসীদের কামলা বলায় ও বিমান বন্দরে হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কুয়েত প্রবাসীরা। শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর কুয়েতের প্রবাসীরা এ প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কুয়েত প্রবাসীরা বলেন র্দীঘদিন রোদে পুড়ে হাড় কাপা শীত কঠোর পরিশ্রম করে দুই তিন মাসের জন্য একটু প্রশান্তির আশায় দেশে যাই। দেশে যেতে বিমান বন্দরে নানা হয়রানির সম্মুখিন হতে হয় সেটা কাম্য নয়। বিদেশের কোন বিমান বন্দরে অবৈধ কোন কিছু বহন না করে কোন ধরনের হয়রানির করে না। আর বাংলাদেশে তল্লাশির নামে নানা ধরনের হয়রানি শিকার হয় প্রবাসীরা।
সম্প্রতি কুয়েত সফরে আসা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি তার এক বক্তব্যে বলেন বিমান বন্দরে হয়রানি শেষ হয়ে গেছে সেটা বলবনা তবে আগের তুলনা হয়রানি অনেক টাই কমেছে। বর্তমান সরকার প্রবাসীদের প্রতি যথেষ্ঠ আন্তরিক এবং প্রবাসীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রবাসীরা যত বেশী স্বাচছন্দ্যে থাকবে ততবেশী রেমিটেন্স আসবে দেশে। আর বেশী রেমিটেন্স মানেই দেশের অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি। তাই দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে সরকারের উচিতআরো দক্ষ শ্রমিক তৈরী করা। প্রবাসীরা সর্বোচ্ছ রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল করতে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে মনে করে অনেক বিশেষজ্ঞরা।